
| বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | প্রিন্ট | 506 বার পঠিত
দেশের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানমুখী বহু প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক ধাক্কায় ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে ব্যাংক খাত ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখতে এবং ব্যাংকের ঋণ আদায় নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে বিশেষ নীতি সহায়তা।এই সহায়তায় মাত্র ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ পাচ্ছেন শ্রেণিকৃত ঋণগ্রহীতারা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এ সুবিধা পেতে হলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে আবেদন করতে হবে। তবে জাল-জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণের ক্ষেত্রে এ সুযোগ প্রযোজ্য হবে না।
সুবিধা পাওয়া গ্রাহক সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত গ্রেস পিরিয়ড পাবেন। তবে ডাউনপেমেন্ট নগদে পরিশোধ করতে হবে; আগের কিস্তি পরিশোধ ডাউনপেমেন্ট হিসেবে ধরা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২ সালের মাস্টার নির্দেশনায় বলা ছিল, একজন গ্রাহকের সর্বোচ্চ ৮ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল এবং সর্বনিম্ন ২.৫ শতাংশ থেকে ৪.৫ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট নিতে হবে। আর নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব গ্রাহক তিন বা ততোধিকবার ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট নিতে হবে। ঋণ আদায় ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে করতে হবে।
এর আগে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ পুনর্গঠনে নীতি সহায়তা কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই কমিটির আওতায় চার শতাধিক প্রতিষ্ঠান পুনঃতফসিল সুবিধা পায়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বিশেষ পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণসমূহকে (এসএমএ) শ্রেণিকৃত করতে হবে এবং তার বিপরীতে যথাযথ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৯(১)(চ) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Posted ১২:৫০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রতিদিনের অর্থনীতি | Protidiner Arthonity